মোবাইলের এড্রেস বুক খুলে শাহেদ নামটার দিকে তাকিয়ে আছি। আঙুলের একটা চাপ দিলেই শাহেদ নামটা এড্রেস বুক হতে মুছে যাবে। আসলেই কি যাবে? প্রেমে পড়ার জন্য যথেষ্ট সময় হয়ত নয় কিন্তু ভাল লাগার জন্য এটুকুই যথেষ্ট ছিল। বিয়ের পর কোথায় বেড়াতে যাব সেই পরিকল্পনাও হয়ে গিয়েছিল। ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি দেনমোহর নিয়ে ঝামেলা বাধবে।
আব্বু আম্মুকে কিছু বলতেও পারছি না। আমার বড় বোনের বিয়ে হয়েছিল ১৫ লাখ টাকা দেনমোহরে। আব্বু আমার জন্য ২০ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছিলেন। শাহেদের বাবা মা নাকি ৬ লাখ বলেছেন। এত কম অংক শুনে আমার মামা খালা, ফুপুরা সবাই ভেটো দিয়েছেন। এই বিয়ে হবে না ব্যস। বড় আপু এসে সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিয়ে গেল, আমাকে জিজ্ঞেসও করল না। এই সমাজে মেয়েদের মতামতের কোন মূল্য নেই।
মোবাইলটা বাজছে। একটা অপরিচিত নাম্বার। সাধারণত ধরিনা, আজ কি মনে করে ধরলাম। একজন ভদ্রমহিলার গলা ভেসে এলো,
– হ্যালো কে দিনা?
– জি, আপনি…
– আমি শাহেদের মা, তোমার সাথে একটু কথা বলতে চাইছিলাম।
– জি বলেন, শুনছি…৷
0 Comments